top of page
Search

রাইজিং ভয়েসেস মিশিগানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সম্প্রদায় কে লক্ষ্য করে আইস এর আটকাদেশের নিন্দা জানিয়েছে।

  • Writer: Rising Voices
    Rising Voices
  • Aug 7
  • 5 min read
ডেট্রয়েট, মিশিগান – রাইজিং ভয়েসেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ আইস মিশিগানে আমাদের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের অমানবিক ও নিষ্ঠুরভাবে লক্ষ্য করছে। ক্রমবর্ধমানভাবে এমন প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে যে অভিবাসীদের শুধু রাস্তায় এই  নয়, বরং আইস এর নির্ধারিত চেক-ইনে সদিচ্ছার সঙ্গে হাজির হওয়ার পরও আটক করা হচ্ছে এবং যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে।

এটি স্পষ্ট যে এই আটকাদেশগুলো গণবিতাড়ন প্রচেষ্টার একটি বিপজ্জনক মাত্রা, যা জননিরাপত্তার প্রকৃত উদ্বেগের ভিত্তিতে নয়, বরং একটি কোটা পূরণের উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে। বুধবার ডেট্রয়েটে আইস এর  দপ্তরে যেসব হমং এবং লাওসের অভিবাসী আটক হন, তারা ছিলেন শরণার্থী ও বৈধ বাসিন্দা—যাদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংস অপরাধমূলক ইতিহাস ছিল না। তারা হাজির হয়েছিলেন এমন সাক্ষাৎকারের জন্য, যা তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। তবে তাদের সাক্ষাৎকারের প্রকৃতি সম্পর্কে কোনো সতর্কতা দেওয়া হয়নি এবং যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যদেরও কোনো তথ্য জানানো হয়নি। মূলত, এই বৈধ বাসিন্দাদের যেন হঠাৎ করেই "নিরুদ্দেশ" করে দেওয়া হয়েছে।


যাঁরা আটক হচ্ছেন, তাঁরা বাবা-মা, পুত্র-কন্যা, সমাজের নেতা, এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার মালিক—কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, তারা মানুষ।


লু ইয়াং, একজন হমং শরণার্থী যিনি তাঁর স্ত্রী, ছয় সন্তান এবং ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইরত বৃদ্ধ দাদির সঙ্গে সেন্ট জনসে বসবাস করেন, তাঁকে তাঁর কর্মস্থল থেকে জীবিকা অর্জনের সময় আটক করা হয়। যদি তাঁকে বিতাড়িত করা হয়, তবে ইয়াং তাঁর পরিবার থেকে চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন এবং হয়তো আর কখনও তাঁর মৃত্যুপথযাত্রী দাদীকে শেষ বিদায় জানাতে পারবেন না। ইয়াং মিশিগান অঙ্গরাজ্য জুড়ে পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানকারী একটি অলাভজনক সংস্থা ‘হমং ফ্যামিলি অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পরিবার কেবল একজন উপার্জনকারীকে হারিয়ে চরম কষ্টে পড়বে না, তাঁর সম্প্রদায়ও হারাবে একজন গুরুত্বপূর্ণ অধিকারকর্মীকে।


মোহন কার্কি, একজন ভুটানি-নেপালি শরণার্থী, ওহায়ো-তে তাঁর স্ত্রী টিকা বসনেতের সঙ্গে প্রথম সন্তানের জন্মের অপেক্ষায় ছিলেন, যখন তাঁকে আটক করে মিশিগানে একটি আইস কেন্দ্রে রাখা হয়। তখন অত্যন্ত গর্ভবতী টিকা, যিনি সন্তান জন্মের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেওয়ার কথা ছিল, তাঁকে বরং স্বামীর বিতাড়ন ঠেকানোর উপায় খুঁজতে বাধ্য করা হয়—একটি এমন দেশে, যেখানে মোহন কখনও পা রাখেননি। টিকাকে একাই সন্তানের জন্ম দিতে হয়, আর এখন তিনি একদিকে সদ্যোজাত সন্তানের দেখভাল করছেন এবং অন্যদিকে এমন এক দেশে স্বামীকে পাঠানো ঠেকাতে লড়াই করছেন, যার সঙ্গে তাঁর স্বামীর কোনো সম্পর্কই নেই।

এই দুটি ঘটনা শুধু হাজার হাজার ঘটনার মধ্যে সামান্য উদাহরণ, যেগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইস হাতে নিয়েছে। যদিও অভিবাসীরা আমাদের সমাজের কঠোর পরিশ্রমী ও অবদানকারী সদস্য, আমাদের মনে রাখতে হবে—একজন মানুষ তাঁর শ্রম বা পদবীর চেয়ে অনেক বেশি কিছু। কোনো মানুষই তাঁর পরিবার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত অমানবিক আচরণের যোগ্য নয়—তাঁরাও আমাদের মিশিগানের সম্প্রদায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, অন্য যে কারো মতোই।


এই গণআটকের ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল ব্যক্তি মাত্র নন—তাঁদের ওপর নির্ভরশীল সম্পূর্ণ পরিবার ও সম্প্রদায় রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আইস কর্তৃক পরিবারের কোনো সদস্য গ্রেপ্তার হলে, গড়ে সেই পরিবারের আয় ৭০ শতাংশ কমে যায়। এর পাশাপাশি, আটক ও বিতাড়নের ফলে যেসব পরিবার সদস্য পেছনে রয়ে যান, তাদের গৃহহীনতা ও খাদ্য ও নিরাপত্তার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। যখন প্রশাসন ও ক্ষমতাবানরা আমাদের প্রিয়জনদের আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন, তখন কেবল সংশ্লিষ্ট অভিবাসীকেই নয়, পুরো সমাজকেই আঘাত করেন।


আটক ব্যক্তিদের প্রতি যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে এবং তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, তার বিভৎসতা কোনোভাবেই কম করে দেখা যায় না। মেমোরিয়াল ডে সপ্তাহ এর শেষে একটি মাত্র ফ্লাইটে ১৬০ জনকে লাওস ও ভিয়েতনাম বিতাড়ন করা হয়েছে। সারা দেশে বর্তমানে ১৬,০০০-এর বেশি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে বিতাড়নের আদেশ জারি রয়েছে, অর্থাৎ তাঁদেরও শীঘ্রই বহিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, তাঁদের অনেকের জন্ম হয়েছে শরণার্থী শিবির বা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে, ফলে আইনি কাগজপত্রে তাঁরা রাষ্ট্রহীন হিসেবে বিবেচিত হন—এবং যেসব দেশে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেগুলো আদতে তাদের জন্মভূমি নয়।


এটি একটি আহ্বান—কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক। এশীয় আমেরিকান, নারী, পরিবার ও যুবকদের সংগঠন ও কল্যাণে নিবেদিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, রাইজিং ভয়েসেস এই নির্মমতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে। এই হামলা কেবল অভিবাসীদের নয়, বরং জাতি, জাতিসত্তা ও জাতীয়তা নির্বিশেষে সকল মিশিগান বাসীর ওপর আঘাত। আমরা একটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, এবং এই ভয়াবহ সহিংসতা বন্ধ করতে হলে সকলের এগিয়ে আসা এখন জরুরি।


রাইজিং ভয়েসেস সমস্ত মিশিগান বাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে—আপনারা দয়া করে কংগ্রেস সদস্য ও রাজ্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং জোরালোভাবে দাবি জানান যে তাঁরা যেন ডেট্রয়েটে আইস-এর আঞ্চলিক ফিল্ড ডিরেক্টর কেভিন রেইক্র্যাফ্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্তি দেন, নিরপরাধ অভিবাসী ও শরণার্থীদের বিরুদ্ধে গণ আটক বন্ধ করেন এবং আটককৃত প্রত্যেকের জন্য আইনানুগ প্রক্রিয়া প্রয়োগ নিশ্চিত করেন। আমাদের প্রতিনিধিদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে যে—তাঁদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে হবে মিশিগানের পরিবারগুলোকে রক্ষা করার জন্য। নিচের লিঙ্ক ও স্ক্রিপ্টে আপনার প্রতিনিধিদের খুঁজে পাওয়ার উপায় এবং এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—অনুগ্রহ করে এগুলো ব্যবহার করুন।


আপনার কংগ্রেস সদস্য খুঁজে পেতে ভিজিট করুন:https://www.congress.gov/members/find-your-member

আপনার রাজ্য প্রতিনিধি খুঁজে পেতে ভিজিট করুন:https://www.house.mi.gov/#findarepresentative

আপনার রাজ্য সেনেটর (State Senator) জানার জন্য ভিজিট করুন:https://senate.michigan.gov/senators/all-senators/


Dear (name of elected),

I am writing to you as a concerned constituent regarding the cruel and inhumane uptick in deportation cases of South Asian and Southeast Asian community members in our state. The persons being detained are parents, sons and daughters, community leaders, and small businesses owners, but most importantly they are human.

 

(Insert personal connection if you have one or feel comfortable doing so)

The ripping apart of families is not  just heartless, it is also detrimental to the very fabric of our society and leaves a negative impact on our economy. Studies have shown that a family’s income decreases by 70% on average after a family member is arrested by ICE.  Detention and deportation places families left behind at a higher risk of homelessness and food insecurity. 

 

We should be focusing on strengthening our economy during this time and funding our K-12 schools, not tearing families apart. I urge you as my elected representative to write to  Regional ICE Field Director Kevin Raycraft and ask them to stop the separation of families.

 

Sincerely,

(Name)

(City, Zipcode)


আপনি বা আপনার কোনো প্রিয়জন যদি বিতাড়নের মুখোমুখি হন এবং সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে নিচে দেওয়া সংস্থানগুলোর তালিকার দিকে নজর দিন এবং বিনা দ্বিধায় রাইজিং ভয়েসেস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমাদের কর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে আমরা সরাসরি সহায়তা করতে পারি অথবা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পেশাদার ও সংস্থার সঙ্গে পরিবারকে যুক্ত করে দিতে পারি, যারা সত্যিই সহায়তা করতে সক্ষম।



আমরা একসঙ্গে কাজ করে আমাদের অভিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান আক্রমণ বন্ধ করতে পারি এবং নিশ্চিত করতে পারি যে এই লড়াইয়ে তারা একা নয়। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের অপহরণ ও আতঙ্কিত করার এই অনাচার মেনে নেব না। আমরা আমাদের প্রিয়জন ও পরিবারগুলোর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবো। আমরা তাঁদের রক্ষায় একত্রে সোচ্চার হবো।


####

Rising Voices, a project of the Center for Empowered Politics, is a nonprofit 501(c)(4) organization that seeks to increase the civic participation of Asian Americans in Michigan by developing the leadership, organizing, and power-building capacity of Asian American women, youth, and communities. 

 
 
 

Comments


RV Logo Stacked W_Blk.png

Rising Voices is fiscally sponsored by the Center for Empowered Politics, a 501(c)(4) non-profit organization; Rising Voices Fund is sponsored by the Center for Empowered Politics Fund, a 501(c)(3) non-profit organization

Want to get involved in our movement to build political power in Michigan’s Asian American community?

  • LinkedIn

LAND ACKNOWLEDGEMENT: Rising Voices is based in stolen occupied territories called Waawiiyaataanong, named by the Anishinaabeg and includes the Three Fires Confederacy of Ojibwe (Chippewa), Odawa (Ottawa), and Bodewatomi (Potawatomi) peoples. We acknowledge that Asian American immigration is part of the history of settler colonialism and  that all Indigenous peoples have and continue to be forcibly removed from their homelands. Rising Voices stands in solidarity with Black and Indigenous communities who continue to be systemically excluded and oppressed through the ongoing damaging effects of settler colonialism, genocide, and myths of white supremacy.

bottom of page